সিলেটে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুলি করে হত্যা মামলার ঘটনায় প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯, সিলেট। বুধবার বিকেলে সিলেট নগরের কেওয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেল।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী আমির হোসেন নূরু (৫৯) সিলেটের বালাগঞ্জের আজিজপুরের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে। তিনি পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ নূরুকে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে এলে তার ওপর হামলা হয়। আদালত চত্বর ও বারান্দায় তাকে কয়েকজন কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। হামলায় তার নাক দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। যার কারণে তাকে আর আদালতে তোলা সম্ভব হয়নি। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
র্যাব জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেট নগরের কেওয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে (সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার এফআইআর নং-০৯/৭৯, তারিখ- ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রিঃ, ধারাঃ ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/ ৩২৪/৩০২/১৪৯ পেনাল কোড ১৮৬০;) এর মূলে হত্যার সাথে জড়িত অন্যতম প্রধান একজন পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে গত ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আজিজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ কার্যক্রম চলছিল। এমতাবস্থায় বেলা আনুমানিক ২ ঘটিকায় একদল উশৃঙ্খল মারমুখি জনতা লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করতে গেলে অপর পক্ষের সাথে মারামারি ও গুলাগুলি শুরু হয়। উক্ত সংঘর্ষ চলাকালীন সময় একজন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এসময় নিহত ব্যক্তি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার ফজলু মিয়ার ছেলে সায়েম আহমেদ (২৪)। এই ঘটনায় বালাগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া পরবর্তীতে নিহত সায়েম আহমদ সুহেলের চাচাতো ভাই পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান বাদি হয়ে ৫ জনের নামোল্লেখ করে ও ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সিআর মামলা (নং ০২/২০১৯) দায়ের করেন।
এবিষয়ে বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ আহমদ জানান, তাকে আদালতে নেওয়া হলে সেখানে উৎসুক জনতা তার ওপর হামলা করে। সেখানে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।