ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করার দাবীতে সিলেটে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার সকালে সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, জেলা প্রশাসক ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, ক্রীড়া সম্পাদক মো. আল-আমিন আহমদ, সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়াজী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু, সহ-প্রচার সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, সিলেট প্রেমী নাগরিকদের মধ্য থেকে কবি কামাল আহমদ, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক শাওন, মো. জহিরুল হক জাকির, সাগর দে ও মখছুছুর রহমান।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- আধ্যাত্মিক ও পর্যটন নগরী সিলেটে প্রতিদিন বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য লোকজন যাতায়াত করেন। শিকড়ের টানে সিলেটের অসংখ্য নাগরিক প্রবাস জীবন থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। সিলেট মহানগরীর স্থানীয় বাসিন্দা সহ লক্ষ লক্ষ সাধারণ জনগণ বিভিন্ন কাজসহ নগরীতে প্রতিনিয়ত চলাচল করেন। নগরীতে স্বাচ্ছন্দে চলতে গিয়ে বাঁধসাধে। ফুটপাত ও রাস্তা দখল থাকায় ভালোভাবে ফুটপাত ও রাস্তায় সহজে চলাচল করা যায় না। মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক সহ অলিতে গলিতেও চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। সিলেটে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে। ফুটপাত ও রাস্তা ফাঁকা থাকার কথা কিন্তু এরমধ্যেও ফুটপাত ও রাস্তায় চলাচলের কোনো উপায় নেই। নগরীর প্রধান সড়কগুলোর রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, যেখানে সেখানে অবৈধ স্ট্যান্ড ও প্রায় মার্কেটের সামনের প্রধান সড়কে পার্কিংয়ের ফলে তীব্র যানজট লেগেই থাকে। ফুটপাত ও রাস্তা দখল থাকায় জনসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন। এই ভোগান্তি মুক্ত করতে আপনার দৃঢ হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক এলাকার ফুটপাত ও রাস্তা ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী এবং অবৈধ স্ট্যান্ডের দখলে। পাশাপাশি মূল রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে ভাসমান ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী দোকান ও অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলায় এসব স্থান দিয়ে চলতে আমরা নগরবাসীদের মারাত্মক বেগ পেতে হয়। এসবের কারণে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সব সময় যানজট লেগে থাকে। সিলেট সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে বলে আমরা নগরবাসী মনে করি।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়- নগরীর বন্দরবাজার, সিটি পয়েন্ট, সুরমা মার্কেট, জিন্দাবাজার, জল্লারপার, লামাবাজার, রিকাবীবাজার, কাজির বাজার, জিতু মিয়ার পয়েন্ট, ভার্থখলা, বাবনা পয়েন্ট, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, লালদীঘিরপাড়, মদিনা মার্কেট, উপশহর, সোবহানীঘাট, টিলাগড়, শিবগঞ্জ ও মেজরটিলা এলাকার ফুটপাত এবং মূল রাস্তার দুই পাশ দখল করে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ও রাস্তায় যত্রতত্র পার্কিং সহ অবৈধ স্ট্যান্ড থাকায় পথচারীদের হেঁটে যাওয়া ও যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচলের সুযোগ নেই। ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করা সিলেট মহানগরবাসীর বর্তমান সময়ের প্রধান দাবী। শীঘ্রই ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত ও এতদ্বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।