# পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে ৫টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবি।
পাসপোর্ট অফিসের ঘুষ ও দুর্নীতি দুর করার দাবিতে সিলেটে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা (সিবিযুকস) ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা (সিপ্রকস)-এর যৌথ উদ্যোগে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বরাবরে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় পাসপোর্ট অফিসের সবধরনের ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে ৫টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন- সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মো. আশরাফ উদ্দিন, সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি জাকারিয়া মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাকের, সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম শিতাব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইব্রাহীম, সচেতন নাগরিকদের মধ্য থেকে সাংবাদিক শাহজাহান সেলিম বুলবুল, সাংবাদিক মো. আজমল আলী, মো. কামাল হোসেন ও গোলাম জিলানী প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের নতুনভাবে পথচলা শুরু হয়। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জন্য হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র আবার ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু সরকারী বিভিন্ন অফিসে এখনও পর্যন্ত ৫ আগষ্টের পূর্বের অবস্থা বিদ্যমান। সব জায়গায় প্রতিনিয়ত দুর্নীতি চলছে! দুর্নীতির করালগ্রাসে আমরা সাধারণ জনগণ জর্জরিত। পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ-দুর্নীতির যেন শেষ নেই, ঘুষ ছাড়া পাসপোর্ট মেলে না পাসপোর্ট অফিসে। সরকারের নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার পরও অতিরিক্ত তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা না দিলে হয়রানিতে পড়তে হয় পাসপোর্ট গ্রহীতাদের। পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতিও মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে চলছে। পাসপোর্ট অফিসের প্রতিটি জায়গায় টাকার মাধ্যমে কাজ সমাধান করতে হয়। কোথায়ও কোনো ভুল ধরা পড়লে ভোগান্তির শেষ নেই। জন্মতারিখ সংশোধন, নাম সংশোধন ও ঠিকানা সংশোধনে হাজার হাজার কখনো লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়! সাধারণ মানুষ পাসপোর্ট করতে এসে চরম নাজেহালের শিকার হন, যা বলাবাহুল্য। আবার পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে চলছে মারাত্মক হয়রানী ও চাঁদাবাজি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমনসহ যাবতীয় বৈদেশিক কাজে পাসপোর্ট করা জরুরী। সেই পাসপোর্ট যথাযথভাবে প্রাপ্তিতে সব প্রতিকুলতা দুর করে বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিকদের জন্য সহজ করা খুবই প্রয়োজন। পাসপোর্টধারী সাধারণ জনগনের কথা বিবেচনায় নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের সবধরনের ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে ৫টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার দাবি জানাচ্ছি।
তাদের দাবিগুলো হলো- অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পাসপোর্ট অফিসে যাওয়া ও ফিঙ্গার প্রিন্টের সময় নির্ধারণ করা, অনলাইনের মাধ্যমে সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার সিস্টেম চালু করা, পাসপোর্ট ডেলিভারির দিন পাসপোর্ট প্রদান নিশ্চিত করা ও পাসপোর্ট প্রদানে সবধরনের হয়রানি বন্ধ করা, পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ করা ও পাসপোর্ট অফিসে ভিআইপি পরিচয়ে সবধরনের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করা।