মঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বিকাল ৪:২৩

সিলেটে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানবন্ধন

ডেস্ক রিপোর্ট
এপ্রিল ১৬, ২০২৪ ৭:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেটে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সচেতন নাগরিক ফোরাম সিলেট বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সচেতন নাগরিক ফোরাম সিলেট বিভাগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও ফোরামের সদস্য সচিব সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া এবং মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্ট অব বাংলাদেশ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. দিলোয়ার হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ১১ নং সেক্টরের কম্পানী কমান্ডার অধ্যাপক শেখ আব্দুস সোবহান।

প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন অ্যাড. উবায়দুর রহমান। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি, লেখক, গবেষক এ কে আজাদ খান। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন তাজপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রান কান্ত দাস, দুর্নীতি মুক্ত ফোরাম কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক মকসুদ হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় অফিসের বিভিন্ন অনিয়মে নাজেহাল সাধারণ নাগরিকরা, বিশেষ করে যে কোন বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে গেলেই পরিচালক এমরান হোসেনের অবৈধ দাবীর মুখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে কাজ করতে বাধ্য হন। শুধু তাই নয় সম্প্রতি ছাতক উপজেলার চেচান গ্রামের শাহ বাড়ীর মেসার্স নাফিসা এগ্রো ফার্মের বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষনের ভুক্তভোগিদের বার বার অভিযোগ দিলেও দুর্নীতিবাজ এমরান হোসেন কোন ব্যবস্থা না নিয়ে পরিবেশের ছাড়পত্র দিয়েছেন যা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। তাছাড়া সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে বাসা বাড়ীতে কাজ করতে হলে বাড়ীর ভিটার মাটি কাটতে গেলেই পরিবেশ লংঘনের অভিযোগ এনে অহরহ মামলা করা হচ্ছে। তদন্ত পূর্বক উপ পরিচালক এমরান হেসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করা হয়।

এব্যাপারে সিলেটের বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, কেউ যদি অন্যায়ভাবে কোনোকিছু করে থাকে, তাহলে সৃষ্টিকর্তা এর বিচার করবে। তারা আমাদের অফিসে অভিযোগ দিয়েছিল। এটা নিয়ে বিস্তারিত শুনানিও হয়। শুনানি শেষে আমরা এটার নিষ্পত্তি করে দিলাম। গত মাসে তারা মনগড়াভাবে একই বিষয়ে আরেকটি অভিযোগ দিছে।বিল্ডিং করার অনুমোদন দেয় সিটি করপোরেশন। আমাদের একজন প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত থাকেন। আমিতো কখনো মিটিংয়ে যাই না। এবং একান্তভাবে এটা সিটি করপোরেশনের বিষয়। এখন পাহাড় কাটা বড় ইস্যু পরিবেশের জন্য। পাহাড় কাটার অনুমোদন দেওয়া ও আমার না। পাহাড় কাটার ফলে দিন দিন সিলেটে পাহাড় কমে যাচ্ছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।