সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে(সিকৃবি) কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে প্রক্টর প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হকের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী কর্মচারী ফোরামের সদস্যরা। রোববার জাতীয়তাবাদী কর্মচারী ফোরামের সভাপতি ফয়েজ আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ এক বিবৃতিতে তার পদত্যাগ দাবি করেন।
জানা যায়, গত সপ্তাহে আওয়ামী প্রশাসনের সময় নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার বিএনপি সমর্থক কর্মচারী কামরুজ্জামানকে কর্মচারী ফোরামের সুপারিশে কৃষিতত্ত্ব ও হাওর কৃষি বিভাগ থেকে অর্থ ও হিসাব দপ্তরে বদলি করায় হাওর ও কৃষি বিভাগ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে যথানিয়মে অর্থ ও হিসাব দপ্তরে যোগদান করেন কামরুজ্জামান। অর্থ ও হিসাব দপ্তরে কর্মরত আওয়ামী সমর্থিত কর্মচারী মোজাম্মেলের এলাকার সাইফুল ইসলামকে অন্যত্র বদলি করা হচ্ছে জেনে সন্ধ্যায় প্রক্টর মোজাম্মেল কামরুজ্জামানকে নিজ বিভাগে ডেকে নিয়ে কার অনুমতিতে অর্থ ও হিসাব দপ্তরে যোগদান করেছে জানতে চান। এ সময় তিনি কামরুজ্জামানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগেই কাজ করতে বাধ্য করেন।
বিষয়টি কামরুজ্জামান কর্মচারী ফোরামের সভাপতি ফয়েজ আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদকে জানালে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে প্রক্টর মোজাম্মেলের অফিসে গেলে মোজাম্মেল তাদেরকেও শাসান। এ সময় মোজাম্মেল তাদের বলেন, বিএনপি কর! বিএনপি বের করে দিব। এসময় হট্টগোলের খবর পেয়ে ফোরামের অন্য কর্মচারীরা সেখানে গেলে তাদের সাথেও মোজাম্মেলের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
এসময় কর্মচারীরা বলেন, প্রক্টর মোজাম্মেল সাবেক দুর্নীতি বাজ ভিসি জামালের দোসর। সে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হলেও বিএনপির ছদ্মবেশ ধারণ করে আছে। তারা অবিলম্বে প্রক্টর মোজাম্মেলের পদত্যাগ দাবি করেন।
জাতীয়তাবাদী কর্মচারী ফোরামের সভাপতি ফয়েজ আহম্মেদ বলেন, গত ৫ তারিখের পর থেকে আমরা সকলধরনের বৈষম্য থেকে মুক্তি পেয়েছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিন বৈষম্যের শিকার হওয়াদের বিভিন্ন দফতরে বদলী করেন। সেই সুবাধে কামরুজ্জামানও একটি দপ্তরের দায়িত্ব পান। সেখানে তিনি গেলে তাকে তিনি ডেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে আমরা যোগাযোগ করলে আমাদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন। এজন্য আমরা আজ উনার পদত্যাগ দাবি করেছি।
প্রক্টর প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক বলেন, এরকম কিছুতো আমি জানি না। আপনারা তো জানেন ক্যাম্পাসে সকলধরনের রাজনীতিত নিষিদ্ধ। তাহলে কিভাবে একটি সংগঠন এসে ক্যাম্পাসে ইন্টারফেয়ার করে।