শিরোনামহীন- ত্বোহা
হে অসীমের মালিক !
কি ক্ষুরধার আর চতুরতায় চলে তোমার সৃষ্টি
শব্দের জালে, মোহের তালে কত টালবাহানার ছলে।
পৃথিবী বড্ড মায়াহীন, তবু আকর্ষণের ভাবে জিইয়ে রেখেছে কতক দুপায়ার প্রাণ!
হে অন্তরাত্মার হেফাযতকারী !
বহুযুগ পথ হেটে হেটে কেবল সীমানা ভেঙেছি চরিত্রের, চোখের তৃষ্ণা মিটাতে মিটাতে বাড়িয়েছি সুপ্ত মনের কাতরতা।
হে ধরিত্রীর প্রতিপালক !
আর যখন দাঁড়িয়ে যায় বিবেকের দরজায় মোহ,
দ্বিতীয়বার কি জাগে অদ্ভুত সেই ভাবনা হ্যাঁ সেই ভীষণরকম ভাবনা!
আবেগের গা ঝেরে উন্মাদ, উদভ্রান্ত দিকভ্রান্ত অসুখের মেলা ফেলে, রক্তাক্ত ক্ষণ অনুক্ষণ, অমানুষিক অথর্বের সর্বগ্রাসী কল্প লোক!
জেগে থাকা ভুলের মাঝে জ্ঞানপাপী কঠাক্ষ করে মরে।
হে অসীমের মালিক !
রোজ রোজ ভুলে থাকি আমাদের একটা নিখুঁত হিসেবের দিন আছে,
মিলিয়ে নেয়ার একটা বিশাল দাঁড়িপাল্লা।
কেঁপে উঠে অন্তরাত্মা, কেঁপে উঠে অচেনা মৃত ভবিষ্যৎ!
হে মহাপরাক্রমশালী!
সাধারণ আমি, অতি সাধারণ।
স্বান্তনার বাতাস বয়ে শীতল করুন
ভীষণ শীতল করুন আর
মুক্তি দিন এইসব ইন্দ্রজাল আর পার্থিব মোহ থেকে।
সমাপ্ত করুন হে মাবূদ!
যেভাবে সমাপ্ত করুন হৃদস্পন্দন।