দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ (সিটি কর্পোরেশন ও সদর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, “বিএনপি এখন নালিশ পার্টি। তারা অযথা লবিং করে বেড়াচ্ছে। এগুলো ঠিক নয়। কারণ বাস্তব অবস্থা সবাই জানে। কাজেই কোন ব্যক্তি বিশেষ কারো প্রোপাগান্ডায় কোন কিছু হবেনা। বিভিন্ন রাষ্ট্রের দূতাবাসগুলো তাদের কথায় প্রভাবিত হবে না।”
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে ‘দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে আয়োজিত সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সভায় সিলেট চেম্বারের উদ্যোগে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী মো. ফয়সালের সহযোগিতায় প্রস্তুতকৃত সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাতসমূহ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র এবং সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে ১৬টি প্রস্তাব লিখিতভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ।
প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে ইন্টার কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) স্থাপন, ইসলামপুরে অবস্থিত বিটিএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন সিলেট টেক্সটাইল মিলের জমি প্লট আকারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের বরাদ্দ প্রদান, সিলেট থেকে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে তাজা শাক-সবজি ও ফলমূল রপ্তানির লক্ষ্যে সিলেটে প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব নির্মাণ, সিলেট-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ৬ লেনে রূপান্তর, সিলেটে এনআরবি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা, সিলেটের পর্যটন খাতের বিকাশ ঘটাতে “সিলেট পর্যটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” গঠন, সিলেটে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে নতুন একটি বিসিক শিল্প নগরী স্থাপন, ভোলাগঞ্জ স্থল শুল্ক স্টেশনে ইমিগ্রেশন চালু, সিলেট-ঢাকা ও ঢাকা-সিলেট রুটে বাংলাদেশ বিমানের সান্ধ্যকালীন ফ্লাইট প্রতিদিন চালু।
সভায় বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার প্রশংসা করেন এবং প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, “আওয়ামীলীগ শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামীলীগ আছে বলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, রিজার্ভ বাড়ছে। আর উন্নয়নের মূলমন্ত্র হচ্ছে গণতান্ত্রিক ক্ষমতার ধারাবাহিকতা। তাই দেশের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামীলীগকে জয়যুক্ত করতে হবে”।
সিলেট চেম্বারের সিনিয়র কর্মকর্তা মিনতি দেবীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক ও সাবেক সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ, সাবেক সহসভাপতি হাজী মো. দিলওয়ার হোসেন, পরিচালক মো. আব্দুর রহমান (জামিল), মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. সারোয়ার হোসেন ছেদু, সাবেক সহ সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, সাবেক পরিচালক এহতেশামুল হক চৌধুরী, আব্দুর রহমান, মো. বশিরুল হক, সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক, সিলেটের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ এবং প্রেস ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ।