সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। এতে করে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা। কোনো কিছু কিনতে গেলেই এখন তাদেরকে অন্তত দশবার করে ভাবতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন বেশি দামে কিনতে হয় বলে তাদেরও সেই দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সরেজমিন বুধবার সিলেটের মদিনা মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, সকল সবজির দামই বেশি। ক্রেতারা আসছেন, দামদর করছেন। একটু কমদরের আশায় ঘুরছেন এক দোকান থেকে আরেক দোকান। যেখানে একটু কম পাচ্ছেন, সেখান থেকে পণ্যদ্রব্য কিনছেন।
সেখানে কথা হয় এমজেএইচ জামিল নামে এক ক্রেতার সাথে। তিনি জানান, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা, টমেটোর মূল্য ২৪০ টাকা-২৮০ টাকা, মূলার কেজি ৬০ টাকা। আসলে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন একটা পরিবর্তিত সরকার, এরপরেও যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে তো উপায় নেই। বর্তমান সরকারের উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণ করা। কৃষকরা কত টাকা পায়, সেটা খতিয়ে দেখা। কৃষকরা আসলে দাম কম পায় আর সেগুলো মার্কেটে আসা পরে দাম বেড়ে যায়। এখন সবধরনের মানুষই বাজার নিয়ে খুব বেশি হতাশ। আমরা আশা করতেছি সরকার এই বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখবে।
কথা হয় সবজি বিক্রেতা ধন মিয়ার সাথে। তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে অনেক তরকারি নষ্ট হইছে। যার কারণে এই দাম বাড়ছে। আর রাজশাহীতে বন্যা থাকার কারণেও এই দাম বাড়ছে। সিলেটে আগে বন্যা হওয়ায় এখানের কোনো সবজি নাই। সব সবজিই রাজশাহীর। এ কারণে মূলত দাম বাড়ছে।
কথা হয় ডিমের আড়তের মালিক বিলাল মিয়ার সাথে। তিনি জানান, ডিমের দাম বাড়তি। কমতি নায়। ১৬৫ টাকা করে ডিমের ডজন। আমরা যাদের কাছ থেকে মাল আনি, তারা আমাদেরকে শর্ট দেখায় মাল। তারা বলে মাল কম আসতেছে। একারণে আমাদের কাছ থেকে দাম বাড়াইয়া রাখে। তারা আমাদের কাছে দাম বাড়িয়ে রাখার কারণে আমাদেরকেও দাম বাড়িয়ে রাখতে হচ্ছে।