ভোরের শুনশান নীরবতা পশ্চিমের স্নিগ্ধ বায়ু কুয়াশার মোলায়েম পরশ আগাম শীতের আগমনের বার্তা দিচ্ছে। ঋতু মৌসম শীতের,কার্তিক মাস।আশ্বিন বৈচিত্রে শরৎ বিদায় জানিয়েছে। কুমল ও স্বাভাবিক নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া শীতের কড়া নাড়ছে।কাক ডাকা ভোরে কুয়াশার হাতছানি খানিক পরে মেঘহীন আকাশে ঝলমল আলো একরাশ শীতের আহ্বান।
আজ ১৮(বুধবার) ভোরে, দোয়ারাবাজারের ভিন্ন জায়গায় ঘনকুয়াশা আবার কোথাও দেখা মিলে হালকা ভারি কুয়াশা।মাঝরাতে যদিও শীতের কিছুটা আনাগোনা।প্রত্যুষের কুয়াশা হুমরি দিয়ে শীতকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে তুলছে।
দিনদিন কুয়াশার ঘনত্ব ক্রমশেই বাড়ছে।সামনে তাকালে দেখা যায় কুয়াশার আবরণ প্রকৃতিকে ডেকে রাখছে।সূর্যের মুখ ভোর কুয়াশায় ঝাপসা দেখা যায়। দিনে রোদের তাপমাত্রা বেশি হলেও শেষ রাত ও সকাল বেলা হালকা ঠাণ্ডা অনুভব হচ্ছে। কুয়াশামাখা বিকেলে অনেক বৃদ্ধকে চাদর জড়িয়ে রাস্তাঘাট- হাটবাজারে ঘুরতে দেখা যায়। অন্যান্য থানার চাইতে দোয়ারাবাজার সীমান্তবর্তী মেঘালয়ের পাশে হওয়ায়, শুরু থেকেই কুয়াশা ও শীতের প্রকোপ একটু বেশি।
দূর্বা ঘাসে কিংবা নরম গাছের ডগা ও কচিপাতায় মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে ভোরের শিশির জানান দিচ্ছে শীত আসছে।কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভরে উঠেছে প্রকৃতি।
কলাউড়া দারু সুন্নত কাসেমিয়া ফাজিল( ডিগ্রি) মাদ্রাসার প্রভাষক (বাংলা) ফিরোজ আহমদ বলেন, শীতের আগমনে প্রকৃতি সেজে ওঠে ভিন্ন এক সাজে। শীত, কুয়াশা, চাদর পাখির কুহু কুহু কলতান প্রকৃতিকে বিহিমিত করছে।
প্রভাষক( ইংরেজি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘শীতের আমেজ গ্রাম শহরকে ভিন্ন প্রকৃতিতে রুপায়িত করে।পাখির কিচিরমিচির শব্দ অতিথি পাখির আনাগোনা কুয়াশামাখা ভোর সত্যিই আমাকে বেশি আনন্দিত করে।