সিলেটের পাথর কোয়ারী সচলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম সঙ্গে মতবিনিময় করছেন বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা। আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর বেলা ইসলামী আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে পাথর আহরণের জন্য কোয়ারি খুলে দিলে লাখো মানুষের জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিগত সরকারের মদদপুষ্ট একটি দুষ্টচক্র ও চিহ্নিত সিন্ডিকেটের প্রত্যক্ষ ইশারায় সিলেটের লাখ লাখ মানুষের রোজগারস্থল পাথর কোয়ারী বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোয়ারি বন্ধ করে দিয়ে এই চক্র রিজার্ভের ডলার দিয়ে ব্যাপকভাবে পাথর আমদানি করে দেশের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি সাধন করেছে। স্থানীয় পাথর কোয়ারিতে পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় করে পাথর আমদানির ফলে আমাদের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়।
বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, সিলেটের পাথর কোয়ারী যখন চালু ছিল তখন এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছিল ব্যাপক। শত শত কোটি টাকা পাথর ব্যবসায় বিনিয়োগ করে লাখ লাখ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতেন। লাখ লাখ বারকী শ্রমিকের উপার্জনের সুযোগ ছিল। পাথর কোয়ারি বন্ধ হওয়ায় এসব মানুষগুলো এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কোটি কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে এখন দেউলিয়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা আরও বলেন, যুগ যুগ ধরে উজান থেকে নেম আসা পাহাড়ি ঢলের সাথে নেমে আসা রাশি রাশি পাথর। এসব পাথর সংগ্রহ করেই এ অঞ্চলের প্রায় সব মানুষ জীবিকা নির্বাহ করত। দেশের নির্মাণ শিল্পের অন্যতম উপাদান হিসেবে এ অঞ্চলের পাথর ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
অবিলম্বে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে সিলেটের লাখো মানুষের জীবন ও জীবিকার পথ সুগম করতে অবিলম্বে পাথর কোয়ারি খুলে দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর আহরণের সুযোগ দেওয়ার দাবী জানান।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট বিভাগীয় পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য শওকত আলী বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস উদ্দিন লিকু, পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল আজীজ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিমুল ইসলাম আঙ্গুর, মুফতী ইমাম উদ্দিন, সদস্য হাসানসহ প্রমুখ।