সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) আবাসিক হলগুলোতে অভিযান চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল তিনটার থেকে ছয়টা পর্যন্ত ছেলেদের ৫টি আবাসিক হলে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রায় ৪০টি রামদা, হেলমেট, বিপুল পরিমাণ লোহার পাইপ ও মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার্স ইনচার্জ সোহরাব হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোঃ মোজাম্মেল হক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ এমদাদুল হক ও বিভিন্ন হলের প্রভোস্টবৃন্দ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সুত্রে জানা যায়, আব্দুস সামাদ আজাদ হলের মধ্যে ৫১০ নং রুমে অস্ত্র পাওয়া যায় যেটি সিকৃবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসানের রুম, এছাড়া একই হলের ৩১০ নং রুম থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু হল, কিবরিয়া হলের ২০৫-২০৮ নং রুমে এইসব অস্ত্র পাওয়া যায়। যেখানে ছাত্রলীগ কর্মীরা থাকতো বলে জানা যায়।
অভিযানের বিষয়ে সিকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা আগে থেকেই ধারণা করেছিলাম বিভিন্ন রুমে ধারালো অস্ত্র বা ক্ষতিকারক জিনিসপত্র থাকতে পারে সেজন্য আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তায় রুমে গিয়ে অভিযান কর্মসূচি চালিয়েছি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা শিক্ষার্থী স্বাধীনভাবে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করুক । যারা এর ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সেনাবাহিনীর অফিসার্স ইনচার্জ সোহরাব হোসেন বলেন, আমরা প্রত্যেকটা হলের বিভিন্ন কক্ষে সফলভাবে অভিযান চালিয়েছে । অভিযানে বেশ কয়েকটা রুমে কিছু ধারালো অস্ত্র ও ক্ষতিকারক পানীয় বোতল পাওয়া গিয়েছে, আমরা স্থানীয় থানায় এগুলো হস্তান্তর করব।
তবে যাদের রুমগুলো থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে কিনা এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমরা রুমগুলো গণনার সুবিধার্থে লিস্টেড করি তবে এর বিরুদ্ধে আমরা কোন আইনীয় ব্যবস্থা নিবো না। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবে।