বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার গৌরবকে কালিমাযুক্ত করার ষড়যন্ত্র এরই ভেতরে আবার শুরু হয়ে গেছে। গণতন্ত্রে উত্তরণের চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এই মুহূর্তে সিলেটের বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান রেখে বলতে চাই, আপনারা যে যেখানে বসবাস করেন সেখানে আপনার বন্ধু কিংবা পাড়া-প্রতিবেশী– তিনি মুসলমান-বৌদ্ধ-হিন্দু-খৃষ্টান যে ধর্মীয় পর্যায়ের যেই হোক না কেন, বিশ্বাস যাই হোক না তার নিরাপত্তায় দেয়াল হিসেবে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসবাসকারী প্রত্যেকটি মানুষের একটিই পরিচয়। সেটি হচ্ছে আমরা বাংলাদেশি।
তিনি শুক্রবার টিলাগড় গোপালটিল মন্দির কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় কালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, অত্যাচারী হাসিনা বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, বিএনপি বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যেকে বিশ্বাস করে পুলিশের ভেতরে একটি চক্র ছাড়া অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্য চাকরিবিধি মেনে, দেশের আইন-কানুন মেনেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছে।
অ্যাডভোকেট পংকন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক টিটন মল্লিকের সঞ্চালনায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নজিবুর রহমান নজিব, রাহাত চৌধুরী মুন্না, শাবিপ্রবি কলেজের প্রভাষক পলাশ চক্রবর্তী, হিমাদ্রি কর পুরকাস্থ, লোকমানুজ্জামান লোকমান, অজিত সেন, সুয়েব আহমদ, স্বপন পাল, উমেশ চন্দ্র দে, স্বপন চক্রবর্তী, পরিমল কুমার নাথ, পাপ্পু ভট্টাচার্য্য, সুকান্ত ভট্টাচার্য্য, পবিত্র দেবনাথ, সমীর রায়, হারান দে, সন্তোষ পাল, অনিক দেব প্রমুখ।