আজ ৯ জিলহজ; পবিত্র হজের সেই মহিমান্বিত দিন, যেদিন আরাফাতের ময়দানে দাঁড়িয়ে লাখ লাখ মুসলিম মহান আল্লাহর সামনে হাজিরা দেন, চেয়ে নেন মাগফিরাত, রহমত ও আত্মশুদ্ধি। আরাফাতের সমতল প্রান্তর আজ মুখরিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে।
হজের তিনটি ফরজের একটি আরাফাতের ময়দানে হাজিদের অবস্থান। এটিই হচ্ছে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সারা বিশ্ব থেকে আসা নানা ভাষার, নানা বর্ণের মুসলিমরা আরাফাতের ময়দানে সারা দিন অবস্থান করবেন। খুতবা ও নামাজের মধ্য দিয়ে এখানে সারা দিন পার করবেন। হাজিরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে আল্লাহর জিকির-আসকার ও প্রার্থনায় মগ্ন থাকবেন। এখানে জোহর ও আসর নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন।
সৌদি হজ কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে এ বছর সারা বিশ্ব থেকে ১৪ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি বিদেশী হাজীর পাশাপাশি কয়েক লাখ দেশীয় হাজী হজ পালন করছেন। এর মধ্যে পবিত্র দুই মসজিদের খাদেম সৌদি বাদশাহ সালমানের অতিথি হিসেবে ফিলিস্তিনসহ ১০০ দেশের ২ হাজার ৪৪৩ জন হাজীও হজ পালন করতে এসেছেন।
আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে আজ হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের প্রবীণ ইমাম শায়খ সালেহ বিন আবদুল্লাহ হুমাইদ। তার প্রদত্ত খুতবা শুধু আরবি ভাষায় নয়, বিশ্বের ৩৪টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে। বিগত বছরের মতো এবারও বাংলায় খুতবার লাইভ অনুবাদ করা হবে। বাংলা অনুবাদক ও লাইভ ভাষ্যকার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের মুহাম্মদ খলিলুর রহমান মাক্কি।
পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ৮ জিলহজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে। এ বছর মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত থেকেই বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীদের মিনার তাঁবুতে নেওয়া শুরু করেন সৌদি সরকারের অনুমোদিত হজ পরিচালনাকারীরা, যাদের বলা হয় ‘মুয়াল্লিম’। হাজিরা মক্কায় নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে মিনার পথে রওয়ানা হন এশার নামাজের পরপরই। বুধবার সকাল থেকে মিনার তাঁবুগুলোতে জমায়েত হন হাজিরা।
এ বছর ৮৫ হাজার ১৬৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী হজে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সেবায় মিনায় দায়িত্ব পালন করে ১৮টি টিম, যারা হাজিদের নিরাপত্তা, খাবার, চিকিৎসা ও দিকনির্দেশনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল।