ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেছেন, নারীশক্তি প্রতিপাদ্যতে ভারতের প্রতিটি রাজ্যে সকল ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
যেখানে আজ নারীরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন পদে দায়িত্ব পালনসহ নারী-পুরষ সমতার মাধ্যমে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে দেশের সার্বিক উন্নয়নে। আর এক্ষেত্রে বিগত কয়েক বছরে নারীদের ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশজুড়ে নারীরা আজ অংশ নিচ্ছে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যা ভারতের সাথে সাদৃশ্য। স্বাধীনতার সময় থেকে ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হিসেবে সর্বদা পাশে থেকেছে।
শুধু তাই নয় ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগি হিসেবে কাজ করছে ভারত সরকার। কারণ দুটি দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিই একে অপরকে শক্তিশালী বন্ধনে বেঁধে রেখেছে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়ায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র বগুড়া এবং ১৫৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মেধাবীদের সংবর্ধণা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলি বলেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিআরএল) আরফিন আরা নাজ, সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জোহরা ওয়াহিদা রহমান, স্থানীয় সরকার বগুড়ার উপ-পরিচালক মাসুম আলী বেগ, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: আ ন ম এহসানুল করিম, বগুড়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবিরাজ তরুণ কুমার চক্রবর্ত্তী, চ্যানেল আই -র নির্বাহী প্রযোজক শান্ত মাহমুদ এবং বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সংগঠক এটিএম রাশেদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৭৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী অতিরিক্ত সচিব আরফিন আরা নাজ, সাবেক শিক্ষার্থী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আনজুম এবং ২০১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী স্বর্গ তৌহিদসহ ২০১৮, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালের সর্বমোট ৭৮১ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধণা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ৫ জনকে শ্যামল ভট্টাচার্য্য স্মৃতি পদক প্রদান করা হয়।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন, সাহিত্যে মরোণত্তর কবি ড. রহমতুল বারী, সাহিত্যে শাজাহান সাকিদার, শিক্ষায় গোপাল চন্দ্র সরকার, সাঁওতাল সম্প্রদায়ের প্রীশিলা মুর্মু এবং আবৃত্তিতে শান্ত মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দের সামনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশাত্ববোধক বিভিন্ন গান পরিবেশনসহ বিদ্যালয়ের সফলতার নানা কথা তুলে ধরেন।