বন ও পরিবেশ উপদেষ্টার নাম ব্যবহার করে সিলেটের গোয়াইনঘাটে নৌপথে চাঁদাবাজী মামলার প্রধান আসামী আজমল হোসেন এবং তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে গোয়াইনঘাট উপজেলা নৌকা শ্রমজীবি সমবায় সমিতির উদ্যোগে গোয়াইনঘাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি আলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ইউপি সদস্য ও যুবদল নেতা কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী পরিবারের সদস্য গোয়াইনঘাটের লেঙ্গুরা গ্রামের আজমল হোসেন নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। আজমল গ্রুপকে চাঁদা না দিলেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করে। সম্প্রতি আজমল গংরা লেংগুরা গ্রামের পাশে নদীতে কয়েক শতাধিক নৌকা, বলগেট আটকিয়ে চাঁদা দাবি করে। নৌ শ্রমিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আজমল ও তার গ্রুপের সদস্যরা দীর্ঘ ১০ দিন নৌকাগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে আটক করে রাখে। পরে খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে নৌকাগুলো চাঁদাবাজদের কাছ থেকে উদ্ধার করে।
তারা আরও বলেন, এ ঘটনায় আজমল হোসেনকে প্রধান আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আজমল গ্রুপের সাতজনকে আটক করা হলেও প্রধান আসামী আজমল হোসেন পলাতক থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী, সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও ও ওসিসহ সম্মানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বন ও পরিবেশ উপদেষ্টার নাম ব্যবহার করে সিলেটের গোয়াইনঘাটের নৌপথে চাঁদাবাজী মামলার প্রধান আসামী, ভূয়া সমন্বয়ক দাবীদার আজমল হোসেন এবং তার সহযোগীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামবো।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাবাজার বালু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কালু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন প্রমুখ।
এসময় মানববন্ধনে শতাধিক নৌযান শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আজমল হোসেনকে ফোন দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
