ভূমিকম্পের পর তুরস্ক-সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছেন। তুরস্কের সবথেকে আক্রান্ত অঞ্চল হাতার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, ইমার্জেন্সি টিম আসতে কয়েকদিন সময় লেগেছে। এই অঞ্চলে অনেকে তাদের প্রাইভেট কার এবং মার্কেটের নিচে অস্থায়ী তাঁবুতে ঘুমাচ্ছেন। তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।
গত বুধবার আঘাত হানা ভূকম্পন কেন্দ্রের কাছে অবস্থিত কাহারমানমারাসে এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছিলেন, বাস্তুচ্যুতদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দেবে সরকার। যাদের বাড়ি ধ্বংস হয়েছে কিংবা বাড়ি নিরাপদ কিনা সংশয়ে আছেন; তাদেরকে হোটেলে সেটেল করা হবে। এরদোয়ান বলেছিলেন, ‘নাগরিকদের আমরা রাস্তায় থাকতে দিতে পারি না।’
তবে বাস্তবতা ভিন্ন। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে বলেছেন, ১০ লাখের বেশি মানুষ তাঁবু শিবিরে থাকছেন। রাতে তাপমাত্রা মাইনাস ৯ ডিগ্রি পর্যন্ত নামছে।
সিরিয়ার পরিস্থিতি আরও খারাপ। দেশটির ৫৩ লাখ মানুষ বাড়িহারা হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সিরিয়ার প্রতিনিধি সিভাঙ্কা ধানাপালা।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় কমপক্ষে ৮ লাখ ৭০ হাজার মানুষের জরুরি গরম খাবার সহায়তা দরকার।সূত্র: গার্ডিয়ান