গণঅভ্যুথানের পর নানা ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই নানা ধরণের সুবিধা কিংবা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন, যা সুষ্ঠু চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের অন্তরায় বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূইয়া। তিনি আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে হাসপাতাল এলাকায় নজরদারির আহবান জানিয়ে বলেন, এতে করে হাসপাতালে কেউ কোনো ধরণের দৌরাত্ম প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
শনিবার দুপুরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার সাথে বৈঠকে তিনি এ আহবান জানান। তিনি বলেন, অনেকেই ছাত্র-জনতার নাম করে হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা করার পাঁয়তারা করছে। আমরা সবাইকে চিনি না। তাই আন্দোলনকারীরা নির্দ্দিষ্ট প্রতিনিধি দিলে রোগী সেবা কার্যক্রমের কোনো ব্যঘাত ঘটবে না।
এ সময় বৈঠকে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আবু ছালেক মো. নাসিম, মো. জহিরুল ইসলাম, মো, রিয়াজ হোসেন, দেলোয়ার শিশিরসহ সকলেই হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সহযোগিতার আশ্বাস দেন। যাতে দেড় কোটি মানুষের চিকিৎসাসেবার প্রধানকন্দ্রে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রমে কোনো ধরণের ব্যঘাত না ঘটে।
বৈঠকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গণঅভ্যুথানের পর এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তারের পাঁয়তারা করছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে করে স্বাস্থ্যসেবায় বিঘ্ন ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।