সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে রফিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই পৌরসভার বাসিন্দা।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় গত মঙ্গলবার দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবার।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তিনি তার ব্যক্তিগত কাজে ব্র্যাক অফিসে যান। ওই দিন তার মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। সন্ধ্যায় তার মেয়ে তুলসী গাছে ধূপবাতি দেখানোর জন্য ঘর থেকে বের হলে রফিকুল তাদের ঘরে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকে। এরপর মেয়েটি ঘরে এলে তার হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির মা বাড়িতে এলে রফিকুল তাকে কিল-ঘুসি মেরে পালিয়ে যায়। পরে বাসায় গিয়ে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে দিরাই উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বজনরা। পরে সেখানকার চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েটিকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠান।
পুলিশ ও মেয়েটির পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলার সরমঙ্গল গ্রাম থেকে বখাটে রফিকুলের পরিবার পৌর এলাকায় বসতি স্থাপন করে। রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকেই বখাটে জীবনযাপন করে আসছে। তার যন্ত্রণায় পাড়া-প্রতিবেশী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
দিরাই থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি রফিকুলকে গত মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।