জ্বালানী সংকটে সিলেটে বেড়েছে লোডশেডিং। তীব্র লোডশেডিংয়ে জনজীবনে দেখা দিয়েছে অশান্তি। টানা বৃষ্টির পর গরম বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে রয়েছেন নগর ও জেলার বাসিন্দারা। সিলেটের বিভাগীয় বিদ্যুৎ অফিস জানিয়েছে ৪৫ শতাংশ লোডশেডিং হচ্ছে। কবে এ থেকে মুক্তি মিলবে সেটা জানা নেই তাদের।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সিলেটে বেড়েছে তীব্র লোডশেডিং। প্রতি ঘণ্টায় হওয়া এই লোডশেডিং নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নগরের বাসিন্দারা। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিলে আরেক ঘণ্টায় শুরু হয় লোডশেডিং। এভাবে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার পর্যন্ত চলছে বিদ্যুতের এই কারসাজি। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরের জনসাধারণ। এদিকে মঙ্গলবার থেকে বেড়েছে গরমও। গরমের সাথে এই লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় দিনে ঠিকমতো কাজ করতে পারতেছেন না আবার রাতে ঘুমাতেও পারতেছেন না। যার কারণে অনেকে ক্ষোভ মেটাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও।
এবিষয়ে নগরের জিন্দাবাজারের বাসিন্দা শাহীন আহমদ আজকের পত্রিকাকে জানান, দুইদিন থেকে গরম বেড়েছে। আবার এর সাথে এখন যোগ হয়েছে লোডশেডিংও। যার কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারতেছি না। গরমে ঘেমে যেতে হচ্ছে। কাল থেকে রাতেও ঘুমাতে পারতেছি না। প্রতি ঘণ্টার এই লোডশেডিং মেনে নেওয়া সম্ভব না। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টির দ্রুত সমাধান করবেন।
এবিষয়ে সিলেটের বিভাগীয় বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. জারজিসুর রহমান রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমাদের জ্বালানী স্বল্পতার কারণে উৎপাদন কম হচ্ছে। আর এই উৎপাদন কম হওয়ার কারণে এই লোডশেডিং হচ্ছে। এজন্য আমাদের প্রচুর পরিমাণে লোডশেডিং হচ্ছে। আমাদের সিলেটে ৬টা ফিডার আছে। এখানে আমরা ২ টা থেকে ৩ টা ফিডার চালাতে পারতেছি। আমরা এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি। উৎপাদন বাড়লে লোডশেডিং কমে যাবে। এখন ৪৫ ভাগ লোডশেডিং হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় আমাদেরকে ৬০ শতাংশও লোডশেডিং করতে হচ্ছে।