মঙ্গলবার , ৬ মে ২০২৫, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রাত ৩:২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সিলেটে আইনজীবী পিতা হত্যায় ছেলেসহ ৩ জনের ফাঁসি

স্টাফ রিপোর্টার
মে ৬, ২০২৫ ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. শামসুল ইসলাম চৌধুরী হত্যা মামলায় তার ছেলেসহ ৩ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট বিভাগীয় স্পেশাল জজ কোর্টের বিচারক মো. শাহাদাত হোসেন প্রামাণিক এ রায় দেন। এসময় ১ জনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও আরেকজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে একজন হলেন শামসুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মসুদ আহমদ চৌধুরী (মুন্না)। বাকি দুজন হলেন- মো. জাহের আলী ও মো. আনসার আহমেদ। একই রায়ে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

আর মামলার রায়ে মাইক্রোবাস চালক মো. বোরহান উদ্দিনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মো. ইসমাইল হোসেন রানুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত।

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আনছারুজ্জামান। তিনি জানান- মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ৩০ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় কোনো আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তারা পরে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। বাসা ও জায়গা নিজের নামে লিখে না দেওয়ায় ছেলে বাবাকে হত্যার মতো ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটেছে। উনার ছেলেটা অনেকটা বদমেজাজি টাইপের ছিল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শব-ই-বরাতের রাতে নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ হন অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর তার ছেলে মুন্না কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি করেন। পরে ২২ জুলাই মুন্না নিজেই আত্মগোপনে চলে যান। ওই সময় তিনি ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ৪ আগস্ট শামসুল ইসলামের বড় ছেলে মাহমুদ আহমদ চৌধুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার এক সপ্তাহ পর র‌্যাব আনসার, বোরহান ও রানুকে আটক করে। তাদের মধ্যে আনসার ও বোরহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

এদিকে এ ঘটনার দেড় মাসের মাথায় সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা নদী থেকে শামছুল ইসলামের মরদেহের কিছু অংশ, পাঞ্জাবী ও টুপি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শামছুল ইসলামের বলেই নিশ্চিত হওয়া যায়।

পরবর্তীতে জানা যায়, ঘটনার দিন শবেবরাতের রাতে নামাজরত অবস্থায় অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে তার ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না পেছন থেকে প্রথমে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। আঘাতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় গাড়িতে তুলে সুনামগঞ্জের ছাতকের মল্লিকপুর এলাকার সুরমা নদীতে ফেলে দেয় নিজেরই ছেলে। এর কয়েকদিন পর সুনামগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে সুরমা নদীতে শামসুল ইসলামের দেহাংশ পাওয়া যায়। লাশ গুমের ঘটনায় মুন্নাকে গাড়িচালক মো. বোরহান উদ্দিন এবং মো. জাহের আলী ও মো. আনসার আহমেদ সহযোগিতা করেন।

বাসার একটি অংশ ও বিভিন্ন জায়গাজমি মুন্নার নামে লিখে না দেওয়ায় তিনি বাবাকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে আদালত।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।