আমি অথবা সমগ্র
ত্বোহা
আমায় মুখস্থ করেনি আর কেউ!
চোখ, মুখ অথবা অব্যক্ত অনেক কিছু
অথবা আমার সামগ্রিক আচরণ।
যে আমায় মুখস্থ করেছিল,
আমি তাকে চিনতাম।
যার অবয়ব শান্ত নদীর মত,
আমার শাস্ত্র সে ভালবাসে প্রাণের মতন।
সে বলেছিল এক অমোঘ সত্য-
এসব আমার জোড়া চোখে অব্যক্ত ছিল!
সে আমায় আত্মস্থ করেছিল, আমার সামগ্রিক আচরণ এবং অনুভূতি থেকেও।
আমি তাকে চিনতাম।
মন আর মগজের ব্যবচ্ছেদে গল্প টেনে
সে বলেছিল ভালো থাকিস গোমড়ামুখো,
প্রাণভরে একটু হাসিস!
বর্ণের পিটে বর্ণ এঁকে সে লিখতো মহাকাব্য, শুদ্ধ গান!
সে বলেছিল অত সরল মন বইতে নেই ছেলে,
যুগের পর যুগ অমন হৃদয়ের রক্তে মাংসে উদরপূর্তি কেনে!
আমি তাকে জানতাম।
কঠিন খোলশের ভেতর থাকা ছোট্ট মনও,
যে পথে সন্ন্যাস পথিক সেখানে এক নারীও থাকে,
হাসতে হাসতে সে বলেছিল, কবিতা প্রকাণ্ড এক নারী!
তুই হাসিস খুব করে, আর কম ভাবিস,
অমন গোমড়ামুখো, এত বিশ্বাসে না ডুবে নিজেকে ভালোবাসিস!
সে আমায় মুখস্থ করেছিল।
একদিন বেঘোর ঘুমে আমার চোখের পাড়ে কুয়াশা
শ্রবণশক্তি প্রবল অথচ কেমন নির্বাক হয়ে শুনছিলাম তাকে!
যে আমায় মুখস্থ করতে পেরেছিল,
আমি যাকে চিনতাম।
সে একদিন মরে গেছে, চলে গেছে দূরে,
সে বলেছিল- অতটা সরল হতে নেই ছেলে মানুষের,
নিজেকে ভালোবাসিস, আর সাহস রাখিস তুই বড্ড অসুখী হবি।
সে এক সমগ্র প্রাণ বহু বছর আগে প্রয়াত!
এক সবিশেষ চর্মচক্ষু
আমি তাকে চিনতাম, আমি তাকে জানতাম!
যে আমায় আত্মস্থ করতে পেরেছিলো,
অথচ আমি তাকে বলছি,
বলেই চলছি কোন মানুষ আর সুখী নয়, মানুষেরা ব্যক্তিক নয় সামাজিক সুখে বিবর্তিত।
আমি তাকে বলছি!
যদি একা আমি অসুখী তবে,
জানিস আমি বিশ্বাস করি স্রষ্টা সকলের সহায়।
সে শুনছেনা মরে গেছে বহুকাল আগে।
যাকে আমি চিনতাম, তার প্রকাণ্ড কবিতার মত যে ছিল নিরবচ্ছিন্ন ভালোত্ব!
তাকে আমি জানতাম।
যে আমার হাসিখুশির আশ্রয় ছিল,
সে মরে গেছে আমাকে একা করে।
বহুকাল আগে সে মরে গেছে
আমি অসুখী হবো বলে!
অথচ শুধুমাত্র সে আমায় ঠোঁটস্থ করেছিল,
আমার সামগ্রিক আচরণে।
সে আমার বন্ধু হয়,
আমি তাকে চিনতাম।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।