সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রাজধানীর মহাসমাবেশে অংশ নিতে বাধা এড়াতে বিভিন্ন কৌশলে ঢাকায় যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এবার ভিন্ন কৌশলে ঢাকা গেলেন সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীরাও। দলবদ্ধভাবে ঢাকার উদ্দেশে রওনা না হয়ে বিচ্ছিন্নভাবে সিলেট ত্যাগ করেন অনেকে। তাদের কেউ ব্যবসার কাজে, কেউ পাসপোর্ট হাতে নিয়ে আবার কেউবা ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে ঢাকায় রওনা করেছেন। আবার কেউ গাড়িতে নৌকার স্টিকার লাগিয়েও ঢাকায় রওনা হয়েছেন। শনিবারের ওই সমাবেশে যোগ দিতে দু-একদিন আগে থেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির প্রায় ১০ হাজার নেতাকার্মী।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে সিলেটে ঢাকামুখী প্রতিটি বাসের সবগুলো সিটের টিকিট কাটা হয়। এই কয়েক দিন বাসের টিকিট বিক্রি স্বাভাবিক দিনের চাইতে বেশি ছিল এবং প্রতিটি বাসে যাত্রীভর্তি ছিল বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ময়নুল ইসলাম।
সূত্র জানায়, গত কয়েক দিন ধরে সিলেট থেকে ট্রেন, মাইক্রোবাসে ও বিমানে টিকিট কেটে অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় যান। কেউ কেউ বাধা এড়াতে বিমান ও বাসের টিকিট চড়ামূল্যে কেটেছেন।
সমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যে সিলেটের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় অবস্থান করছেন জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। তারা নিয়মিত ঢাকায় অবস্থানরতদের সাথে যোগাযোগ করছেন খোঁজখবর নিচ্ছেন।
জানা যায়, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের ব্যাপারে গত মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি যৌথভাবে প্রস্তুতি সভা করে। এ সভায় নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা জানান, সিলেট বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকার মহাসমাবেশ যোগ দেয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ওইদিন বলে দেওয়া হয়েছে, দলবদ্ধভাবে নয়, যার যার সুবিধামতো উপায়ে ঢাকায় যেতে। সমাবেশে যাওয়ার পথে সরকারের বাধার মুখে যাতে পড়তে না হয়, সেজন্য নেতাকর্মীদের দু-তিনদিন আগেই ঢাকায় যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, মহাসমাবেশে যোগ দিতে সিলেট থেকে প্রায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। ঢাকায় আসার পথে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের নেতাকর্মীদের। সমাবেশে সিলেট থেকে ১০ হাজার নেতাকর্মী যোগ দেবে বলে জানান তিনি।