সিলেটে ১৭৮ তম বিশ্ব এ্যানেসথেসিয়া দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে হাসপাতাল চত্বর প্রদক্ষিণ করে। র্যালী শেষে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব এনেসথেসিওলজিষ্টস ক্রিটিক্যাল কেয়ার এন্ড ফিজিসিয়ান (বিএসএ-সিসিপিপি) সিলেট জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ওসমানীা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর রাশেদ মুনির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ বিশ্ব এনেসথেসিয়া দিবস। আজকের এ দিনটিকে ইথার ডেও বলা হয়। ১৮৪৬ সালে ডায়েথিল ইথারের এনেসথেসিয়ার সফল প্রয়োগের পর এই দিনটিকে এনেসথেসিয়ার দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যে কোনও অপারেশনের আগে রোগীকে অচেতন করতেই এনেসথেসিয়া প্রয়োগ করা হয়। অপারেশনের সময় রোগীর যাতে কোনও যন্ত্রণা, কষ্ট অনুভব করতে না পারেন, সেই কারণেই তাঁর দেহের নির্দিষ্ট কোনও অঙ্গ কিছু সময়ের জন্য অবস করে দেওয়া হয়। এই পদ্ধতি রোগীর জন্য আরামদায়ক ও নিরাপদ। কারণ এতে অপারেশন পরবর্তী যন্ত্রণা কিছুটা হলেও কম টের পান রোগী।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ খায়রুল বাশারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী, শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরী, সহাযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. খালেদ মাহমুদ, ক্যাজুয়ালটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. আহমদ নাসিম লাভলু, সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. সাহিদ আহমদ তুহিন প্রমুখ।
