সিলেটে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু সংক্রমণের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই হাজার ছাড়িয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২ মাসের ব্যবধানে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। গত জানুয়ারিতে ৩ জন সংক্রমিত হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত ১০১৯ জন ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সিলেটে এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১জন। এর মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩জন, লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬জন ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ২জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও এসময়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১০জন রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় জানায়, এবছরের জানুয়ারিতে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। ঐ মাসে সিলেটে ৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হন। পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে কোনো রোগী শনাক্ত না হলেও এপ্রিল ও মে মাসে ১ জন করে শনাক্ত হন। কিন্তু, এর পরবর্তী মাস থেকেই শুরু হয় সিলেটে ডেঙ্গুর প্রভাব। জুন মাসে ৫৯ জন আক্রান্ত হলেও জুলাইয়ে ডেঙ্গু রূপ নেয় মারাত্বক আকারে। ঐ মাসে আক্রান্ত হন ৩৮২ জন। গত মাসে (আগস্ট) ৫০৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১০১৯ জনের মধ্যে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন ৫৪ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ১১, সুনামগঞ্জে ৫, হবিগঞ্জে ৩৫ জন ও মৌলভীবাজারে ৩ জন। এদিকে, এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৯৬৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান বলেন, সিলেটে ডেঙ্গু সংক্রমণ অনেকটা কম আছে। ঢাকাগামী লোকের গমনাগমন ঘটে বলে হবিগঞ্জের লাখাইয়ে এর সংক্রমণটা বেশি। তবে বর্তমানে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতালে সচেতনতা বাড়ানোয় এর মাত্রা দিনদিন কমে আসছে। সিলেটে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সবধরনের স্যালাইন ও ওষুধপত্র রয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেওয়ার ও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এতে করে তার দ্বারা অন্যরা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বলেও জানান তিনি।