বুধবার , ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সন্ধ্যা ৬:২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ব্যবসায়ী বাবলু হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা

ডেস্ক রিপোর্ট
এপ্রিল ১৭, ২০২৪ ৬:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বাবলুর (৪৮) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠেছে গোটা উপজেলা। সচেতন মহল এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছে। বাবলুর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার ও বুধবার দুটি মানববন্ধন করেছেন উপজেলাবাসী। বুধবার উপজেলার ভোলাগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন স্কুল মাঠে প্রতিবাদ ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও শায়েস্তা মিয়া নওশাদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান ফাতেমা, ভোলাগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল বশর, পাড়ুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক বরকত উল্লাহ, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আকবর রেদওয়ান মনা, ভোলাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগি সদস্য মিজানুর রহমান রসিক, সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম,পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী, টুকেরগাঁও আদর্শ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, আবুল কাশেম, আক্তার হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্যবসায়িক কাজে ঘর থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে বাবুল ইসলাম। পরদিন ভোর ৬টার দিকে উপজেলার কাঁঠালবাড়ি এলাকার রাস্তার পাশের একটি খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বাবুল ইসলামের স্ত্রী আসমা খাতুন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে এ মামলা রেকর্ড করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

অভিযোগে বাবুলের স্ত্রী উল্লেখ করেন, ১১ এপ্রিল দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মাথায় ছুরিকাঘাত করে ও দুই পা ভেঙ্গে বাবুল ইসলামকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর আলামত নষ্ট করার জন্য হত্যাকারীরা ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, আমার স্বামীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বুড়দেও গ্রামের জিয়াদ আলীর ছেলে আক্কাছ আলী (৪৫) সর্বশেষ ফোন করিয়া আমার স্বামীকে তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য বলে। তার ফোন পেয়ে আমার স্বামী তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যান। পরদিন ভোরে লোকমুখে সংবাদ পাই যে, উপরোল্লিখিত ঘটনাস্থলে আমার স্বামী রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। পরবর্তীতে আমার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে থানায় সংবাদ দিলে থানা-পুলিশের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আমার স্বামীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেন। আমার স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হত্যাকারীরা আমার স্বামীর লাশ উপরোল্লিখিত ঘটনাস্থলে খালের পানিতে ফেলে দেয়। উল্লেখিত আক্কাছ আলী অথবা অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার স্বামীকে ফোন করিয়া নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।

বাবুল ইসলামের লাশ উদ্ধারের পর থেকেই উপজেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন হত্যার রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করছে।

এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, বাবলুর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।