যথাযোগ্য মর্যাদায় ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সিলেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্টপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত হয়েছে। বুধবার সিলেট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ও মহানগর কমান্ড প্রথমে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ এবং বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি জেলা প্রশাসন থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. জোবায়েদুর রহমান, সিভিল সার্জন সিলেট ডা. মনিসর চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মণ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকারবঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে। মানবিক চেতনাসম্পন্ন সব মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শোককে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর ও তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আলোচনা সভাকালীন শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঢাকা থেকে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। শেষে শেখ রাসেল দিবস- ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।