জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সিলেটের ৫ টি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বৃষ্টিভেজা দিনে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শিক্ষার্থীরা ছুটেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে নগরজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সিলেটের ৫ টি কলেজে ২৩ হাজার ১৮৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২০ হাজার ৯১১ জন।
জানা যায়, শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় বৃষ্টিপাত। আর এর মধ্যে পরীক্ষার হলে ছুটেন শিক্ষার্থীরা। এদিন সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার সময়েই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। পরীক্ষা শুরু ও শেষে ওই কলেজ ও তার ভেন্যু সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয় তীব্র যানজট। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষজনও ভোগান্তিতে পড়েন।
সংশ্লিষ্ট কলেজ সূত্রে জানা যায়, সিলেটের এমসি কলেজে ৫ টি ভেন্যুতে ১০ হাজার ৩১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮ হাজার ৬৮৫ জন শিক্ষার্থী এদিন পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন। আর অনুপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ৩৪৬ জন পরীক্ষার্থী। উপস্থিতির হার ৮৬.৫৮ শতাংশ।
যার মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৫ হাজার ৫৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৫৬২ জন উপস্থিত ছিলেন, মানবিক বিভাগের ৪ হাজার ৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৬৮৮ জন উপস্থিত ছিলেন এবং আর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৪৭২ জনের মধ্যে ৪৩৫ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আর সিলেট সরকারি কলেজে ৩ হাজার ২৭৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৫ জন শিক্ষার্থী এদিন পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিতির হার ৯১.৬৭ শতাংশ।
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে ২ হাজার ৮৯১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ হাজার ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। যার উপস্থিতির হার ৯২ শতাংশ।
মদনমোহন কলেজে ৩টি ভেন্যুতে ৩ হাজার ৯১৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৬৯১ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। যার অনুপস্থিতির হার ৯৪.২০ শতাংশ।
দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজে ৩ হাজার ৭১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। যার উপস্থিতির হার ৯৩.৩৯ শতাংশ।
এবিষয়ে অনার্স ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা-২০২৪-২৫ এর মুরারিচাঁদ কলেজ কেন্দ্রের আহবায়ক প্রফেসর মোহাম্মদ সাহাব উদ্দীন জানান, বৃষ্টি কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি করলেও পরীক্ষা সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। তবে শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন।