বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেয় নি। এই মানুষগুলো বিগত ১৭ বছরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিট ঠেকে গিয়েছিল এই করাপটেড সিস্টেমগুলোর জন্য। তাহলে আজকে যদি এই করাপটেড সিস্টেমগুলোর মিনিমাম একটা সংস্কার না করে যদি নির্বাচনের দিকে যান, ওই যে নির্বাচন কমিশন, ওইটাও তো একটা সিস্টেম। এই ১৬ বছরে সবচেয়ে ব্যর্থ সিস্টেম হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তাহলে তো আপনার ওই নির্বাচন কমিশনে সংস্কার প্রয়োজন। আপনি নির্বাচন কমিশনে যাদেরকে ভোটার তালিকা দিলেন, নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন জায়গায় লোকজন-জনবল সেট করে দিয়ে আপনি তালিকা পাঠালেন। এভাবে তো কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। পাশাপাশি একটি শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন কোনোদিনও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে না।
আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
সারজিস বলেন, বিগত ১৬ বছর বা ৫৩ বছর ধরে যে সংবিধান ৫ বছরের জন্য যে সংবিধান এই বাংলাদেশের মানুষকে ৫ বছরের জন্য জনতার সরকার উপহার দিতে পারে নি। প্রত্যেক ৫ বছরে দেখেছি অনেক বড় বড় ইশতেহার দিয়ে নির্বাচন করে। তারপরে সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার কয়েকদিনে মধ্যে তারা ভুলে যায় কি ইশতেহার দিয়েছিল। তারা ভুলে যায়, তারা জনতার সরকার। সেই জায়গা থেকে যে সংবিধান আমার যে সাংবিধানিক অধিকারগুলো রক্ষা করতে পারে নি। সেখানেও আমাদের জায়গা থেকে আমরা পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে মনে করি এই সাংবিধানিক সংস্কারটিও প্রয়োজন। আমরা বলছি না যে পুরো সংস্কার করে নির্বাচন। আমরা কখনো বলছি না আপনার ৫/৬ বছর আপনার এই সংস্কার করে তার পরে যান। কিন্তু মিনিমাম আপনার একটা স্ট্যান্ডার্ড সময় তো লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে এটা চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে। এটা কখনো সম্ভব নয়। গত ১৬ বছর ধরে এই সিস্টেমকে ধীরে ধীরে ভেঙ্গে শেষ করা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি এই সিস্টেমগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত। এই সিস্টেমগুলোর একটি যৌক্তিক সংস্কার হওয়ার পরে যতদ্রুত সম্ভব অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত।
এর আগে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।