ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দারুণ শুরুই করেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে মাঝের সময়ে ছন্দপতন হলেও শেষ দিকে পেরেরা-লিন্ডের ব্যাটে ভর করে সিলেট সংগ্রহ করে ১৮২ রান। দলের হয়ে এদিন ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট করে সংগ্রহ করেন হাসান মাহমুদ এবং দাসুন শানাকা।
এর আগে মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সিলেট। শুরুতে শান্ত এবং তৌহিদ হৃদয় ভালো শুরু এনে দেন দলকে। তবে দলীয় ৬৫ রানে হাসান মাহমুদের শিকারে পরিণত হয়ে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে বিদায় নেন হৃদয়। তখনো ব্যাট হাতে অবিচল শান্ত।
তিনে নামা মাশরাফি মুর্তজা এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী হয়ে ব্যাট করতে থাকেন। ৪০ রানে থাকা অবস্থায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ফিরে যান শান্তও। এরপরই আবার সিলেট শিবিরে আঘাত ডোয়াইন ব্রাভোর, ২৮ রানে থাকা অবস্থায় মাশরাফিকে প্যাভিলিয়নে পাঠান এই পেসার।
এছাড়া দলের হয়ে বড় রান পাননি জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম কিংবা রায়ার বার্লরা। ১৪২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জর্জ লিন্ডেকে নিয়ে লড়াই করতে থাকেন থিসারা পেরেরা। শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ৩৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। পেরেরা ২১ রানে থাকা অবস্থায় রান আউটে কাটা পড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত লিন্ডে অপরাজিত থাকেন করেন ২১ রান। দলের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮২ রান।