সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের সাড়ে তিন মাসের মাথায় লাশ হয়ে ফিরলেন গৃহবধূ হাফছা বেগম (১৯)। স্বামী তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। এ ঘটনায় শনিবার (২৫ মার্চ) কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা ঘটে গত বৃহস্পতিবার সকালে। ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার রাত ১০টায় লাশ দাফন করা হয়।
জানা গেছে, নিহত হাফছা উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের কাকুরাইল গ্রামের তৈয়ব আলীর মেয়ে। মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী নতুন জীবনপুর গ্রামের আরু মিয়ার পুত্র ইজমান হোসেনের সাথে।
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন থেকে ইজমান তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে এক লক্ষ টাকা আনতে চাপ দিচ্ছিলেন। হাফছা বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা আনতে পারবে জানায়। কিন্তু ইজমান মানতে নারাজ। এনিয়ে ক’দিন ধরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ইজমান ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী হাফছাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাফছার লাশ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে সেটিকে আত্মহত্যা বলে এলাকায় প্রচার করা হয়। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পায়নি। এছাড়া আত্মগোপন করায় স্বামীসহ পরিবারের কাউকেই খুঁজে পায়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আল আমিন বলেন, আমরা গিয়ে লাশ মেঝেতে পাই। আমরা জেনেছি, প্রতিবেশী এক নারী হাফছার ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে মেঝেতে রেখেছে। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে এটি হত্যা না আত্মহত্যা জানা যাবে।