শনিবার , ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, দুপুর ১২:৪৪

কোম্পানীগঞ্জে টেটরাসল সলিউশন ঔষধ সেবন করিয়ে স্ত্রীকে মারার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

ফখর উদ্দিন
অক্টোবর ১২, ২০২৪ ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেটে টেটরাসল সলিউশন ঔষধ সেবন করিয়ে স্ত্রীকে মারার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন মারা যাওয়া শিল্পনা বেগম (৩০) এর ছোটভাই আব্দুল কুদ্দুছ (৩০)। অভিযোগে বোনজামাই সহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করেছেন কুদ্দুছ। পরে কোম্পানীগঞ্জ থানা অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

আব্দুল কুদ্দুছ (৩০) ও শিল্পনা বেগম সিলেটের বিশা্বনাথ উপজেলার দূর্লভপুরের মৃত ফজর আলীর ছেলে ও মেয়ে। আর অভিযুক্ত স্বামী মো. জসিম উদ্দিন (৩৫) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বতুমারা গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর ছেলে।

অভিযোগে আব্দুল কুদ্দুছ উল্লেখ করেন, ১২ বছর আগে মো. জসিম উদ্দিনের সাথে আমার বড় বোন শিল্পনা বেগমের (৩০) বিবাহ হয়। আমার বোনের ঘরে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিবাহের বেশ কিছুদিন পর থেকে প্রায় সময়ই পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার বড় বোনকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। উক্ত বিষয়ে আমার বোন আমাকে জানালে আমি তাদের বাড়ীতে গিয়ে তাদের এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়া স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশ হয়। সেসময় তার পরিবার আমার বোনের সাথে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করবে না এবং তার স্বামী বোনের সাথে সুন্দরভাবে সংসার করবে বলে জানায়। এরপর থেকে আমার বোন তার স্বামীর সংসারে সুখে শান্তিতে সংসার করতে থাকে।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়- বেশ কিছুদিন ঘর সংসার করার পর তারা আমার বোনের উপর পুনরায় নির্যাতন শুরু করে এবং বলতে থাকে তোকে এই সংসারে রাখব না। এমন শাস্তি দিব যাতে তুই এই সংসার থেকে পালিয়ে যাবি না হয় গলায় ফাসঁ নিয়া মরবি। তারপরও আমার বোন সংসার করতে থাকে। গত ৭ অক্টোবর রাতে আমার বোন আমাকে কল দিয়ে বলে ভাই তোমরা আমাকে বাচাঁও নইলে আমার স্বামীর বাড়ীর লোকজন আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। তারপর থেকে আমার বোনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন ৮ অক্টোবর সকালে তার স্বামীর মোবাইল দিয়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি জানায় আমার বোন শিল্পনা বেগম (৩০) মৃত্যুবরণ করিয়াছে এবং সাথে সাথে কল কেটে দেয়। পরে আমি তার বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই আমার বোন এর মৃতদেহ মাটিতে পড়ে আছে। আমার বোনের মৃতদেহ ফেলে রেখে বাড়ী থেকে তার স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। আমার ভাগ্না- ভাগ্নিকে খোঁজাখুজি করে তাদের বাবার নানাবাড়ীতে খুঁজে পাই। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে জানতে পারি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এবং বিবাদীদের প্ররোচনায় পড়ে আমার বোন টেটরাসল সলিউশন ঔষধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় সালাম ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।

এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক সুজন চন্দ্র কর্মকার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তন্ময় কান্তি দাস জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। এখন পূজার ছুটিতে আসায় আর তদন্ত করা সম্ভব হয়নি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।