স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, স্ত্রী, পুত্র, দলীয় নেতাকর্মী সহ আহত ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক, ১ম শ্রেণির আম্পায়ার সওকত আলী দিদার হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল। শনিবার বিকেলে নগরে পৃথক পৃথক এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল।
সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল কোর্ট পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে প্রতিবাদ সভা করে। সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল আহাদ খান জামালের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শাকিল মুর্শেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মিফতাহুল কবির মিফতা, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর মুনিম, আলী মো. নুরুল হুদা দীপু, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।
এদিকে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফছর খানের সঞ্চালনায় মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী (ভিপি মাহবুব)।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়বকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মাসুম ইবনে রাজ্জাক রুমেল, আব্দুল হাসিম জাকারিয়া, রুনু আহমদ, সৈয়দ আমির আলী, উসমান হারুন পনির, আজিজ খান সজিব, সদস্যদের মধ্যে তছির আলী, মিসবাহ আহমদ জেহিন, জাকারিয়া মোঃ সালা উদ্দিন সাকের, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, আবির হাসান মুহিন, দুলাল আহমদ, মেহেদি হাসান সপু, শফিকুল ইসলাম, রায়হান উদ্দিন রাজু, ইকবাল হোসেন, ইবনে জাহান তানভীর, গোলাম মোস্তফা, নুরুল হক মাসুম, হোসেন খান ইমাদ, সাফওয়ান আলম কোরেশি, সোবহান আজাদ, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী (ভিপি মাহবুব) বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলীর হত্যাকারী অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাতারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। অবৈধ আওয়ামী শাসনামলে এই সন্ত্রাসীরা অনেক কালো টাকা উপার্জন করেছে, সেই কালো টাকা তারা এখন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে কাজে লাগাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর জন্যই বিএনপি এবং অন্যান্য সমমনা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ জনগণের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে খুন ও তাদেরকে গুরুতর জখম করা হচ্ছে।