রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম মারা গেছেন। দুর্ঘটনার পর তিনি সিএমএইচের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর থেকে পাইলটের মৃত্যুর গুঞ্জন শোনা গেলেও বিকেলে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, পাইলটের মৃত্যুসহ এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৯।
এর আগে বিমান বিধ্বস্তের পরপর গুরুতর আহত অবস্থায় পাইলট তৌকিরকে সিএমএইচে নেওয়া হয়।
ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট তৌকির পাবনা ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। এক বছর আগে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
এর আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়।
দুর্ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ তদন্তের মাধ্যমে জানানো হবে বলে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হওয়ার পর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ও দুর্ঘটনা মোকাবিলায় বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাবার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা একটি ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিধ্বস্ত হয়।
এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় বৈমানিকসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৬৪ জন। আহতদের সবাইকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও নিকটস্থ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তর করা হয়েছে।