সিলেট শহরতলীর এয়ারপোর্ট রোডের বড়শালা এলাকা থেকে রাতভর অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ অন্যতম শুরা সদস্য ও দাওয়াতী শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মায়মুন, মো. আবু জাফর, মো. আক্তার কাজী, সালাউদ্দিন রাজ্জাক মোল্লা। এর মধ্যে মায়মুনের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। আর আবু জাফর, আক্তার কাজী ও রাজ্জাক মোল্লার বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ ২ লাখ টাকাসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব-৯ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার রাতভর অভিযান শেষে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৯ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেফতার হওয়া আব্দুল্লাহ মায়মুন অভিনব কৌশলের বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে নতুন জঙ্গি সংগঠনের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকেন। পাশাপাশি তিনি জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সাথে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সমন্বয়কের কাজ করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা জানতে পারে এই নতুন জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম শুরা সদস্য ও দাওয়াতী শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মায়মুন সংগঠনের কয়েকজন সদস্যসহ সিলেট এলাকায় অবস্থান করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এর অংশ হিসেবে গত সোমবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা বাজার এলাকা হতে এই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় নগদ ২ লক্ষ টাকা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন দাবি করেন, ‘গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ মায়মুন ২০১৩ সালে স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেন। সে আনসার আল ইসলামের সিলেট বিভাগীয় প্রধান ছিল। আনসার আল ইসলামের শীর্ষ জঙ্গি নেতা চাকুরিচ্যুত মেজর জিয়ার সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এবং তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। ২০১৯ সালে বগুড়ার একটি সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় সে গ্রেফতার হয় এবং ১ বছরের অধিক কারাভোগ করে ২০২০ সালের শেষের দিকে জামিনে মুক্তি পায়।’