রমজান মাসে জুড়ে খতমে তারাবীর নামাজ পড়িয়েও হাদিয়া নেননি হাফিজ জুনায়েদ। প্রথম রমজান থেকে ২৭ রমজান পর্যন্ত তারাবির নামাজ পড়িয়েছেন তিনি। যা নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পুরো এলাকায়।
হাফিজ তৌফিকুল ইসলাম জুনেদ (১৫) সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্বইসলামপুর ইউনিয়নের পুরান বালুচর গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে খণ্ডকালীন ইমামতি করেন। তিনি একই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক হাজী আবুল কালাম আজাদের মেজো ছেলে।
হাফিজ জুনেদ বলেন, আল্লাহ আমাকে হাফিজ বানিয়েছেন লক্ষ-কোটি শুকরিয়া, দ্বিতীয় বারের মতো এ বছর তারাবি নামাজ আদায়ে খন্ডকালীন ইমামতি করি, দু’বছর-ই হাদিয়া নেওয়া হয়নি। মসজিদ কমিটি খুশি হয়ে তিনটি পাঞ্জাবি কাপড় উপহার দিয়েছেন তাতেই আমি সন্তুষ্ট।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল ছোবহান জানান, আমরা তাঁকে হাদিয়া দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তিনি নেননি। পরে উনাকে আমরা তিনটি পাঞ্জাবী কাপড় উপহার দিয়েছি।
জুনায়েদের পিতা হাজী আবুল কালাম আজাদ বলেন, জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার আমার ছেলে একজন হাফিজ হয়েছে। আল্লাহ যেন আমার ছেলে’কে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাদিয়া ছাড়া তারাবির নামাজ পড়ার সামর্থ্য দান করেন। আপনারা সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।
জামেয়া মখজনূল উলুম কলাবাড়ী মাদাসার মুহতামিম আব্দুর মুছাব্বির বলেন, হাফিজ জুনেদ হাদিয়া না নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আল্লাহ যেন তার এই খেদমতকে কবুল করেন।