সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে ট্রাক ও পুলিশের পিকআপের সংঘর্ষে ট্রাকের পেছনে থাকা ফয়সল আহমদ নামে মোটরসাইকেলের আরেক আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (৫ এপ্রিল) শেষরাতে মোটরসাইকেল আরোহী ফয়সল আহমদ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরআগে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের চালক পুলক রায় মারা যান। নিহতরা পরষ্পরের বন্ধু বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে সিলেট- ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের গোয়াইনঘাট থানাধীন মিত্রিমহল এলাকার ১০ নম্বর ব্রিজের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পুলক রায় সিলেটের শিববাড়ি এলাকার গোপাল রায়ের ছেলে এবং ফয়ছল আহমদ(৩০) শাহপরান এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ও মাইক্রোবাস শ্রমিক নেতা। এ দুর্ঘটনায় বিক্রম মণ্ডল নামে বাইকের আরেক আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। আশংকাজনক অবস্থায় বর্তমানে তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা শ্যামল বণিক জানান- বুধবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থেকে পুলিশের একটি পিকআপ সিলেট শহরে আসছিলো। রাত ১০ টার দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের গোয়াইনঘাট থানাধীন মিত্রিমহল এলাকার ১০ নম্বর ব্রিজের উত্তর পাশে ওই পিকআপের সাথে কোম্পানীগঞ্জগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ট্রাকের পিছনে ছিলো একটি মোটরসাইকেল যা ট্রাকের সাথে জোরে ধাক্কা খায়।
মোটরসাইকেলটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন ছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী ছিলেন। ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তিনজনই ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক পুলক মারা যান এবং হাসপাতালে নেয়ার পর ফয়সল মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ পিকআপের চালক এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে জানান তিনি। তবে ঘটনার পরপরই বেপরোয়া ট্রাকচালক পালিয়ে যান এবং তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।