নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় কম দামে পণ্য পেতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক সেলের লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়াচ্ছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণেই নিম্নবিত্তের সঙ্গে মধ্যবিত্তরাও এই লাইনে শামিল হচ্ছেন। পবিত্র রমজান মাসের ৬ষ্ঠ দিনে সিলেটের ওসমানীনগরে ন্যায্যমূল্যের টিসিবি’র পণ্য কিনতে সাধারন মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুর ১ টায় উপজেলার মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নিম্নবিত্ত, দরিদ্র, দিনমজুর বা ভাসমান ক্রেতারা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন কম দামে সরবরাহ করা টিসিবির পণ্য কিনতে। ন্যায্য মূল্যের পণ্য পেয়ে ক্রেতা সাধারণের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। দেখা যায় কার্ডধারীর বাইরে অসংখ্য দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ টিসিবির বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে পণ্যের আশায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। এ অবস্থায় টিসিবির কার্ডের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
টিসিবি’র পণ্যের মধ্যে রয়েছে চিনি ১কেজি ৬০ টাকা, সোয়াবিন তেল ২লিটার ২২০ টাকা, ছোলা ১ কেজি ৫০ টাকা ও মশুর ডাল ২কেজি ১৪০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। টিসিবি’র পন্য কিনতে আসা ক্রেতা শাহ্ আলম বলেন, রমজান মাসে কাজ কাম না থাকায় এমন অবস্থায় কিছুটা কম দামে টিসিবির পণ্য পাওয়ায় অনেকটা উপকার হয়েছে। টিসিবি’র কার্ড থাকার পরও অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও কিনতে হয়েছে। এখান থেকে পণ্য নিলে বাজারের চেয়ে অনেক কম দামে পাওয়া যায়। ট্রাক বেশি থাকলে এমন ভোগান্তি আর পোহাতে হতো না।
টিসিবি’র ডিলার তাহের আহমদ জানান, ট্রাক আসার আগেই অসংখ্য নারী-পুরুষ সকাল থেকেই লম্বা সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করছেন। দুপুর ১২ টা থেকে ইফতারের আগে পযর্র্ন্ত প্রায় ২ হাজার মানুষের মধ্যে টিসিবি’র পন্য বিক্রি করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকাভুক্ত কার্ডধারী ছাড়া কাউকে দেয়া হচ্ছে না টিসিবি’র পণ্য । পণ্যের মান ভালো এবং দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় মানুষ টিসিবি’র পণ্য কিনতে আগ্রহী হচ্ছে।