উৎসব মূখর পরিবেশে গ্রাম-বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের বিভিন্ন উপরণ এর প্রদশর্নী মুগ্ধ করেছে বইপ্রেমী দর্শনার্থীদেরকে। ছুটিরদিনে দর্শক সমাগমে মুখরতি ছিল শ্রীহট্ট প্রকাশ এর মাসব্যাপী প্রদর্শনী ও বই মেলা।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর দাড়িয়াপাড়াস্থ শ্রীহট্ট প্রকাশ এর মাসব্যপী বইমেলা ও প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায় লেখক, পাঠক, শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি যেন ফুলে সাজানো এক টুকরো জ্ঞানের ভান্ডার। বিভিন্ন লেককের লেখা বই প্রদর্শনীর সাথে দর্শনার্থীরা মুদ্ধ হচ্ছেন গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের উপকরণ দেখে। নগরীতে বসবাসরত বর্তমান প্রজন্মের শিশু-কিশোররা দেখছেন বাংলার হারানো ঐতিহ্যেও উপকরণ। মা-বাবার সাথে প্রদর্শনীতে আসা শিশুরা পরিচিত হচ্ছে বাংলার অচেনা-অজানা অনেক বিষয়ের সঙ্গে। এক সময়ে বিদ্যুৎ বিহিন সমাজে আলোকিত হওয়া সহ প্রাচীন আমলের মানুষের দৈনন্দিন পথচলার সাথী হিসেবে ব্যবহৃত উপকরণ দেখে মুগ্ধ মেলায় আগত ছোট-বড় সব বয়সী দর্শকরা। কেউ নাম জানছে আবার কেউবা ছবি তুলছে। সেইসাথে পছন্দের লেখকের বই দেখছেন অনেকে।
রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শেনীর শিক্ষার্থী সানজিদা আফরিন হিমু বাবার সাথে মেলা দেখতে এসে জানান, পছন্দে গল্পের বই দেখছেন, তবে টাইপ মেশিন, পালকি, হ্যাজাক লাইট এরম ত এই উপকরণগুলোর সাথে পরিচয় হয়ে ভালোই লাগছে। মেলায় এসেছে বিভিন্ন কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। যারা বই দেখার পাশাপাশি কলেরগান, হুক্কাসহ পুরোনো উপকরণ দেখে মুগ্ধ হয়ে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় প্রিয় মুহুর্তটি বন্ধি করে রাখছেন। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের দেখাচ্ছেন দাদার আমলের ব্যবহৃত উপকরণ সেইসাথে অনেক স্মৃতিও মনে করছেন।
বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থী মণিষা ওয়াহিদ বান্ধবীদের সাথে নিয়ে এসেছেন মেলায়। তিনি বলেন, বইয়ের পাশাপাশি হারানো দিনের উপকরণ দেখে মুগ্ধ। যেগুলোর মধ্যে কিছু উপকরণ অনেক আগেই হারিয়ে গেছে সমাজ থেকে। অভিভাবক ইলিয়াসুর রহমান জানান ছুটির দিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলায় আসছেন। বইয়ের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী উপকরণগুলো নতুন প্রজন্মেও সদস্যদের দোখানোর জন্য। বাপ-দাদার আমলে সাধারণভাবে ব্যবহার হলেও বর্তমান প্রজন্মের কাছে এগুলো ইতিহাস।
শ্রীহট্ট প্রকাশ এর কর্ণধার লেখক ও প্রকাশক জিবলু রহমান বলেন, তার প্রকাশনীতে প্রায় অর্ধশত লেখকের শতাধীক বই রয়েছে। যার মধ্যে সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যংকিং, সাংস্কৃতিক, ইতিহাস ও গ্রামবাংলার ঐতিহ্য নিয়ে লেখকদের লেখা বইয়ের সাথে সামাঞ্জ্যস্য রেখে কিছু উপকরণ প্রদশনীর জন্য সংগ্রহ করেছেন। মা-মাটির টানে বই পড়ার সাথে দর্শনার্থীদের আরো দেশপ্রেম জাগ্রত করবে পুরোনো দিনের নিত্যসঙ্গী উপকরণগুলো। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা, ৩১ জাুনায়রী ২০২৩ পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী ও বইমেলা।