ছাতকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত আবদুল আলিম (৩২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের কামরাঙ্গিচর গ্রামের মৃত রোয়াব আলীর পুত্র।
জানা যায়, গ্রামের জামে মসজিদের জায়গা সক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কয়েছ আহমদ ও ছুরাই মিয়ার লোকজনের মধ্যে গত ২৬ মার্চ ও ১৫ এপ্রিল দুই দফা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।গত ২৬ মার্চের ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। এ ঘটনায় দুই পক্ষ মামলা দায়ের করেন। এর জের ধরে গত ১৫ এপ্রিল আবারো দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েছ আহমদের পক্ষে আবদুল আলিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ছাড়পত্র দিয়ে পাঠানো হয়। বাড়িতে চলছিল তার চিকিৎসা। শনিবার ঈদের দিন দুপুরে তাকে আবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত আড়াইটার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির বলেন, ১৫ এপ্রিলের মারামারিতে সে আহত ছিল। চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে এসেছিল। গত সোমবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানান।