বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার আহবায়ক আকতার হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তারের ১০ ঘণ্টা পরে জামিন পেয়েছেন। গতকাল রবিবার ভোর ৫টার দিকে সিলেটের জালালাবাদ থানার আউশা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে এদিন বেলা ৩ টার দিকে তার জামিন হয়।
রোববার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক ছগির আহমদ তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে দুপুরে আকতার হোসেনকে আদালতে তোলা হলে শুনানিতে দেরি হওয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়।
আকতার হোসেন আউশা এলাকার আব্দুল মুনিরের ছেলে।
জানা যায়, সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উত্তেজনা দেখা যায়। তবে বর্তমানে বেশি সমস্যা হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে।
শনিবার সিলেট নগরের আমানউল্লাহ কনভেনশন হলে জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার মাহফিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বক্তব্য না দেওয়া এবং তাদের জন্য বসার আলাদা ব্যবস্থা না করায় নাগরিক পার্টির সাথে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সেখান থেকে চলে আসেন। পরে ইফতার শেষে নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের কনভেনশন হল থেকে যেতে বিদায় দেওয়ার সময় সেখানে থাকাদের সাথে আবারও হাতাহাতি ও মারামারি হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সাথে। তখন সেখানে সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩/৪ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হন লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুর রহমান শান্ত। এ ঘটনায় শান্ত শনিবার রাতে বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান (র.) থানায় মামলা দায়ের করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুর রহমান শান্ত জানান, সাস্টের গালিব, নাসিম সহ এদের বিভিন্ন অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার উপরে তারা খেঁপানো ছিল। শনিবার ইফতার মাহফিলেও আসে তারা ঝামেলা করতে। ইফতারের আগে তারা বেরিয়েও যায়। পরে ইফতার শেষে যখন আমরা নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের বিদায় দিতে যাই, তখনই তারা এসে আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। এতে আমি সহ আমার সাথের আরো কয়েকজনকে নাসিম, দেলোয়ার, আকতার তারা দলবল সহ পিঠায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন। তিনি জানান, নাগরিক পার্টির ইফতার মাহফিলের মারামারির ঘটনায় শনিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক ছাত্রনেতা ৭ জন নামীয় ও আরও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ওই মামলা দায়ের করেন। সে মামলার ৩য় আসামী। পরে রোববার ভোরে আকতারকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আর এদিন বেলা ৩ টার দিকে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।