কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলস্টেশনে সিগন্যাল ভুলের কারণে স্টেশনে দাঁড়ানো মালবাহী ট্রেনের উপর উঠে যায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন। এতে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
আজ রোববার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নাঙ্গলকোট রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইফতারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় বিকট শব্দে স্টেশন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীরা লাফিয়ে নামতে গিয়ে অনেকে আহত হন। এদিকে দুর্ঘটনার পর হাসানপুর রেলস্টেশনের মাস্টারসহ অন্যান্যরা পালিয়ে গেছেন। তাদের স্টেশনে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ও যাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের হাসানপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করার সময় এটি সিগন্যাল ভুলের কারণে স্টেশনে দাঁড়ানো মালবাহী ট্রেনের উপর উঠে যায়। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহত যাত্রীরা নিজ উদ্যোগে নাঙ্গলকোট এবং লাকসামসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মালবাহী ট্রেনের পেছনের বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লাইনচ্যুত সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্ধারে লাকসাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম, নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান মেহেবুব ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। দুর্ঘটনায় ঢাকা ও চাঁদপুর অভিমুখী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, হাসানপুর রেলস্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব অবহেলায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নির্দিষ্ট সময়ে ২ নম্বর লাইনে সিগন্যাল পয়েন্ট ঠিক করতে দেরি হওয়ায় ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো মালবাহী ট্রেনের উপর উঠে পড়ে।
এতে সোনার বাংলা ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
সোনার বাংলার যাত্রী সাইদুর রহমান বলেন, আমরা ইফতার শেষ করলাম। এমন সময় বিকট শব্দ। এক সময় মনে হলো আমরা আকাশে উঠে যাচ্ছি। পরে মানুষের চিৎকার কানে এলো। দেখলাম আমাদের ট্রেন অন্য ট্রেনের ওপরে উঠে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান মেহেবুব বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রেলস্টেশনে অবস্থান করছি। এ পর্যন্ত নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ঢালুয়ার একটি ফার্মেসিতে প্রায় ২০ জন যাত্রী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত অন্যান্যদের উদ্ধার করে লাকসাম এবং কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে।