এবছর ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি লোক হজ করছেন। আশা করা হচ্ছে, এবার ২ দশমিক ৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ হজ করবে। এ তথ্য জানিয়েছেন সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
গতকাল রোববার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার করোনা মহামারির সময় আরোপিত বিধি-নিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। তাই আগের যেকোনো সময়ের রেকর্ড ভাঙবে বলে আশা করা হচ্ছে। করোনার পরের বছর মাত্র ১০ হাজার লোক হজের অনুমতি পেয়েছিলেন। ২০২১ সালে কিছুটা শিথিল করে ৫৯ হাজার মানুষকে অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
রোববার সন্ধ্যায় হজযাত্রীরা মিনায় গমন করেন। বাইতুল্লাহ থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় আট কিলোমিটার। এরপর সেখান থেকে আরাফার ময়দানে হাজির হবেন। ইতোমধ্যে হজযাত্রীদের জন্য মিনার ময়দান পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এবারের বড় চ্যালেঞ্জ হলো তাপমাত্রা। সবাইকে প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্য দিয়ে হজের কার্যক্রম আঞ্জাম দিতে হবে।
অবশ্য সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন কিংবা ক্লান্ত হয়ে গেলে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩২ হাজার স্বাস্থ্য সেবা কর্মী। রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, হজ হলো ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি স্তম্ভ। নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক সামর্থ রাখেন, এমন প্রত্যেক মুসলিমের জন্য হজ করা ফরজ। হজের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি পাপ থেকে মুক্ত হতে পারেন। যেতে পারেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একদম কাছে। সেজন্য অনেকেই মনে আশা পোষে যে জীবনে একটি বারের জন্য হলেও বাইতুল্লাহতে হাজিরা দেবে। সেজন্য তিলে তিলে জমিয়ে তোলে পর্যাপ্ত অর্থ।
এই বছর ২৬ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২৮
জুন (আরবে) অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহা। সূত্র : আল জাজিরা