#মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেছেন, বাঙালীর মুক্তির জন্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এদেশের ছাত্র-জনতা জীবন বাজি রেখে মাঠে নেমেছিলেন। দেশকে হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত করতে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।সুজাত আহমেদ চৌধুরী তাদেরই একজন। যিনি জীবন বাজি রেখে ১৯৭১ সালে সুনামগঞ্জে সর্বপ্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। সুনামগঞ্জে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেছিলেন। আন্দোলন-সংগ্রাম করেই তিনি ক্ষান্ত হননি,ওই সময়ে সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা হাওরাঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে কলেজ, হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কর্মীদের ভরসার জায়গা ছিলেন। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে মানুষের কল্যানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিন্তু তিনি ছিলেন একাধারে সৎ,নির্লোভ ও সাহসী।
কোনো লোভ তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি যা বলতেন স্পষ্ট করেই বলতেন। আজকের সময়ে সুজাত চৌধুরীর মতো সৎ,নির্লোভ ও সাহসী নেতার খুবই প্রয়োজন। সুজাত চৌধুরী যুগ যুগ ধরে মানুষের র্হদয়ে বেঁচে থাকবেন।
তিনি বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলে সুনামগঞ্জে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী,সুনামগঞ্জ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,দিরাই সরকারি কলেজ ও তাড়ল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সুজাত আহমেদ চৌধুরীর ১৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সিলেট এই স্মরণ সভার আয়োজন করে। সিলেট প্রেসক্লাবের আমিনুর রশীদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও সিলেটের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন তালুকদারের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি সিলেট জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী ও দৈনিক সিলেটের ডাক’র প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের।
অন্যান্যের মধ্যে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি সিলেট মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মনোজ কপালী মিন্টু, সাংবাদিক ফয়সল আলম, মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন সিলেট মহানগর সভাপতি মীর্জা রেজওয়ান বেগ,জাতীয় পার্টি নেতা ইউসুফ সেলু, এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক খালেদ মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন চৌধুরী বক্তব্য দেন।
প্রয়াত সুজাত আহমেদ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ভাতিজা সিলেট প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও তাড়ল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাউসার চৌধুরী বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার ও আওয়ামীলীগ নেতা শাহ মুজিবুর রহমান জকন, সাংবাদিক মুহিবুর রহমান, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ও প্রয়াত সুজাত আহমেদ চৌধুরীর ভাতিজা মাহমুদুর রহমান চৌধুরী (সুজন), গোলাপগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সুহেল আহমদ, এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক
প্রভাষক ফজলে রাব্বী চৌধুরী ও প্রচার সম্পাদক আখলাক হোসাইন, সদস্য মামুন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণ সভায় বক্তারা সুজাত আহমেদ চৌধুরীর নানা স্মৃতি রোমন্থন করেন। বক্তারা প্রয়াত সুজাত চৌধুরীকে নিয়ে একটি স্মারক প্রকাশের দাবী জানান।বিজ্ঞপ্তি।